সুব্রত আপন
মহেশখালী মাতারবাড়ীতে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হওয়ার পর উপজেলার কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব ও যৌথবাহিনীর আড়াইশ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর থেকে অভিযানে নেমে দুপুর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে একাধিক সন্ত্রাসী আস্তানা ও একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন কোহেলিয়া সেতুর কাছে টহল পুলিশের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। আহত পুলিশ পুলিশ সদস্যদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র নড়েছড়ে বসে আইন শৃংখলা বাহিনী।
অভিযান শেষে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সিইও) কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া, আঁধারঘোনা, গোদারপাড়া ও ফকিরজোম পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করেন তারা। সন্ত্রাসীদের আস্তানা চিহ্নিত করার জন্য অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে পাহাড়ি টিলা ও ঝিরিতে তল্লাশি চালানো হয়। এই অভিযানে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী আস্তানায় হানা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও কারখানাগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন“পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাব সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। সন্ত্রাসীদের আর কোনো আস্তানা থাকতে দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের কারণে সন্ত্রাসীদের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। যৌথবাহিনীর অভিযানে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।