সুব্রত আপন। ২৮ জুলাই ২০২৫
জ্ঞানতাপস আহমদ ছফা স্মরণে—
সৃষ্টিলগ্নে দেখেছি শিকারীর কোলাহল
নক্ষত্রবেদীর অভিমুখে এসেছে রাবণের বান
কতো অপূর্ণতা, শূন্যতা বুকে—নিয়েছো মহাজীবনের স্বাদ
তবুও বিষন্নতা সয়ে দিয়েছো অট্টহাসি
তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে এক করেছো—ভূমি হতে আসমান।
অদৃশ্যের ছাঁয়ায় গড়ায় সাম্রাজ্যের ধ্বংস্তুপে
সুনিল আকাশে—তারকা হয়ে জন্মেছো এ বাঙলায়
অসুরের অঙ্কুরিত বীজের—সাজানো নষ্ট সমাজে
নিক্ষেপিত বান—হৃদয়ে অস্তাচলে—সয়েছো নির্দ্বিধায়।
অন্ধকার গুহার—এ ঘুণে ধরা সমাজে
বিভিষণ হয়ে মুছেছো কতোশত কলঙ্কের দাগ
আত্মহননের মুমুক্ষাও থামাতে পারেনি সুর্দশনচক্র
শাণিত অঙ্গার উর্ধ্বমুখি রেখে নিয়েছো অপবাদ।
এখন শতাব্দীও নিশ্বাস ফেলে—তোমায় হারানোর শোকে
ছুঁয়েছো সমাজতন্ত্রের পাঞ্জা—ছড়িয়েছো সাম্যের বাণী
নিভৃতে প্রদীপ শিখা হাতে ছুটে ছিলে স্রোতের বিপরীতে
জন্মান্তর হয়ে ফিরে এসো—বুঝেনি মুল্য কতোখানী।
সুরভীত ঘ্রাণের ঐ ঝর্ণাধারা হতে আসা—বিন্দু বিন্দু জল
মহাসাগর হয়েছে বলেই নিক্ষেপ করতে পারেনি প্রস্তানে
এখন তুমিহীন ভোগ করছি স্বর্গ—ম্লান মলিন শূন্যতায়
অথচ তুমি সুয়ে আছো বুদ্ধিজীবির কবরস্থানে।