নাসের ভুট্রো
নির্জনতার ছায়া হয়ে দুরে কেন উর্বশী নারী?
শ্বাস ছুয়েঁ বুঝেছি আন্দোলিত সাহস তোমার
ছায়াভেজা বকুলতলা ঘনসিগ্ধ মৃদু রোদ
খড়কুটোর ভেতর জল কেমন জানি,অদ্ভুদ।
বীজবৃক্ষের বিকাশ নিঃশব্দে ভেঙ্গেঁ ভেঙ্গেঁ
চলে গেলে জলপাই পত্র পল্লবের আড়ালে
রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রিত জোৎস্ন্যার প্রলোভনে
ভুলের ক্লান্তিহীন পুনরাবৃত্তি না জেনে।
আতংকিত জনপদ এখনো স্পর্শকাতর
তলিয়ে যাইনি কভু অতল গহবরে…
সে কবেকার খোঁপা থেকে তুলে নেয়া ফুল
বড় যত্নে বিলি কাটে আমারই এতিম আঙ্গুঁল।
জানি,তোমার নীল বেদনা ঝরে পড়ে রাতে
রুদ্র ভুলে ক্রমাগত ভাসে অযুত প্রহর
সংগোপনে বেড়ে ওঠে বিচ্ছেদের বসতি
ভুলে গেলে বেমালুম অমর প্রতিশ্রুতি।
আপাতমধুর প্রলোভনে প্রানপাখি ওড়ে মরে
তোমার অন্তপুরে। বদ্ধ খাচাঁ নিবিড় সর্বনাশা
একা, নিরাবরন, কামাগ্নির স্রোতে ভরপুর
অম্নান চন্দনে ফুটে ওঠে কবেকার পাহাড়ী সুর।।